লন্ডনে ৫ই অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে নতুন আন্তর্জাতিক ছাত্র অভিবাসন রুট!
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গত (১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০) অভিবাসন বিধিমালা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা শেষে চালু করছে সরকার, এই রুট শিশু শিক্ষার্থী সহ ২০২০ সালের বিশ্বব্যাপী সেরা এবং উজ্জ্বল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ধার উন্মুক্ত হবে।
শিক্ষার্থীদের ভিসা পেতে হলে মোট ৭০ পয়েন্ট অর্জন করতে হবে, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় পয়েন্টগুলি অর্জন করতে অনুমোদিত কোনো ইউ কে ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে অফার ও ইংরেজিতে কথা বলতে এবং যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার জন্য সক্ষম হলে কিংবা ইউ কে ইউনিভার্সিটি মনে করলে অন্যান্য ডকুমেন্টস সহ ভরণপোষণ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও শিক্ষাগত সনদের মাধ্যমে এই ৭০ পয়েন্ট অর্জন সহজেই সম্ভব, সে ক্ষেত্রে IELTS না থাকলেও চলবে।
শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্য অধ্যয়ন শেষে বিশেষ অবদান রাখতে ইউকেতে দু’বছর কাজ খোঁজা ও থাকার জন্য আরও ২ বছরের ভিসা পাবেন, (পিএইচডি স্নাতকদের জন্য তিন বছর) কাজের দক্ষতা ও উপযুক্ত চাকুরি পাওয়া গেলে কাজের রুটে স্যুইচ করে সেটেলমেন্ট হতে পারবেন।
https://www.youtube.com/watch?v=cQ5EUZe0i9c&t=180s
আগামী জানুয়ারি ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গত ১০ই সেপ্টেম্বর সরকার ঘোষণা দিয়েছেন যে তা এই মাসে ৫ই অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। বিলেতে বহু কাংখিত ছাত্র ভিসার যে নতুন ধার উম্মোচন হলো তা আগ্রহীদের ভেবে দেখা উচিৎ বলে মনে করছেন লন্ডনে বাংলদেশি ইমিগ্রেশান আইন বিশেষজ্ঞ এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন টিটো, এই সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের ছাত্র/ছাত্রীরা চাইলে তাদের বহু কাঙ্ক্ষিত লন্ডনের পড়াশোনা শেষে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুজুগ করে নিতে পারেন।
তিনি বলেন, আগের সব নিয়ম ঠিক থাকলেও কিছু পরিবর্তন এসেছে, এখন থেকে লন্ডনে ছাত্র ভিসায় অধ্যয়নকালে খুব সহজেই সুইচ করতে পারবেন, এবার কিছু সহজ নিয়ম করেছেন সরকার, যেমন, ব্যাবসা, ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি ভিসায় পড়ালেখা শেষে সুইচ করে সেটেল্ড হতে পারেন, কিংবা তাদের কাংখিত ডিগ্রী শেষে দেশেও ফিরে জেতে পারবেন, তবে যাহারা ভিজিট ও ডমস্টিক ওয়ার্কার কিংবা শর্ট টার্ম ভিসায় আসবেন তাদের জন্য সুইচ নিয়ম প্রজোজ্য হবে না।
আরো যে পরিবর্তন এসেছে এখন থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ইউকে আসার ছয় মাস পূর্বে ইউকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগের বিধি অনুসারে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কোর্স শুরুর তারিখে কিছু আগে আবেদন করতে পারতেন।
কেউ পড়তে আসলে আগে যে প্রোগ্রেস দেখাতে হতো এখন তা শীতিল করা হয়েছে,পোস্ট গ্রাজুয়েট লেভেল-৭ ক্যাপ সিস্টেম তুলে নেয়া হয়েছে, এবং পি এইচ ডি কোর্সের ৮ বছর মেয়াদে ক্যাপ তুলে নেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আন্ডার গ্রাজুয়েট লেবেলে ক্যাপ রয়েছে।
যুক্তরাজ্যে আসার পর ভিসা শেষ হওয়ার একবছরের মধ্যে ভিসা বাড়াতে ভরণপোষণ দেখাতে হবে ণা, আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্সের জন্য বি-১ লেবেল IELTS ৪ থেকে ৫ এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের জন্য বি-২ লেবেল IELTS ৫থেকে ৬ প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে ইউনিভার্সিটি সন্তুষ্ট হলে ডুলিংগ কিংবা প্রি সেশানাল কোর্স করে এসেসমেন্ট করে অফার লেটার ও ‘’কাস’’ ইস্যু করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটিকে সব ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে ভরণপোষণ বাবদ দেখাতে হবে ইউনিভার্সিটি লন্ডনের প্রানকেন্দ্রে হলে ৯ মাসের খরচ ১,২৬৫ পাউন্ড হারে ১১৩৮৫পাউন্ড বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ১৩-১৫ লক্ষ টাকা, ইউনিভার্সিটি লন্ডনের বাহিরে হলে ৯ মাসের খরচ ১০১৫পাউন্ড হারে ৯১৩৫ পাউন্ড বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকা ২৮ দিনের জন্য ব্যাংকে দেখানো প্রযোজ্য হবে। সেক্ষত্রে স্ত্রী ও সন্তান থাকলে আলাদাভাবে ভরণপোষণ প্রযোজ্য হবে। যাদের ডিপেন্ডেন্ট রয়েছে প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে, লন্ডনের জন্য ৮৪৫ হারে ৯ মাসের জন্য এবং লন্ডনের বাহিরে হলে ৬৮০ পাইন্ড হারে প্রতি ডিপেন্ডেট ৯ মাসের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা আর্থিক পেপারস প্রদান করতে হবে।
লেখকঃ লন্ডনে ইমিগ্রেশান আইনজীবী ও কলামিস্ট। ই-মেইলঃ shalawyeruk@gmail.com