বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের মাইলফলক পদ্মাসেতু ও কুসিক নির্বাচনে বি এন পি এবং জামাত-শিবির রগকাটা দলের বিরুদ্ধে কুমিল্লার জনগনের ঐতিহাসিক বিজয়, এই বিজয় কুমিল্লার জনগনের এই বিজয় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এম পির বিজয় !
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আ.লীগ দলীয় প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ১০১টি কেন্দ্রে তিনি ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়েছেন। রিফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট। বুধবার (১৫ জুন) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী এ ফল ঘোষণা করেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হয়।
কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন।
নৌকার মনোনয়ন পেয়ে আরফানুল হক রিফাত এক প্রতিক্রিয়ায় তখন বলেন তা হুবুহু তুলে ধরা হলো- কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে নৌকার মাঝি কে এই আরফানুল হক রিফাত। কুমিল্লা মহানগরবাসীর কাছে তিনি পরিচিত মুখ হলেও দেশের মানুষের কাছে তেমন আলোচিত না। তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
কুসিক নির্বাচনে মোট ১৪ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। প্রায় অর্ধডজন মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভের জন্য ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করেন। সরকারি দলের মনোনয়ন যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন সংক্রান্ত বোর্ডসভায় রিফাতের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
আরফানুল হক রিফাত ১৯৭৪ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরে পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি এবং স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। জিলা স্কুলে পড়াকালীন তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী হিসেবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৮০ সালে তিনি শহর ছাত্রলীগের সভাপতির পদ লাভ করেন। ১৯৮১ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের প্যানেলে তিনি বহিঃক্রীড়া ও ব্যায়ামাগার সম্পাদক নির্বাচিত হন।
ওই সময় কলেজ ছাত্র সংসদে প্রথম জাতির পিতার ছবি উত্তোলন করেন। একই বছরে জামায়াত শিবির কর্তৃক আক্রমণের শিকার হন। ওই সময় তার দুই হাত এবং দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়, এবং তাকে মৃত ঘোষণা করে তখন শিবির ক্যাডার রা ফেলে রেখে যায়। আজকের এম পি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার তাকে উন্নত চিকিৎসা করে বাঁচিয়ে রাখেন।
১৯৮৩-৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। এ সময় এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য পদ লাভ করেন। পরে তিনি কুমিল্লা জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভ করেন।
এছাড়া গত ১২ বছর যাবত তিনি কুমিল্লা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। রিফাত কুমিল্লা ক্লাবের দুইবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এ বিষয়ে নৌকার মনোনয়নপ্রাপ্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত বলেন, সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। জামায়াত-শিবির কর্তৃক অনেক জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশনায় দলের দুঃসময়ে সব কর্মসূচি পালন করেছি, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার রাজনৈতিক জীবনের ত্যাগের মূল্যায়ন করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সার্বিক নির্দেশনায় সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে দলকে বিজয় উপহার দিতে চাই।
